ফেসবুকসহ অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে চলতি মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ালেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আইন অনুযায়ী, এসব মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের গুজবের শাস্তি হিসেবে ১৪ বছরের জেল এবং এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই আইনের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, মূলত চলতি পরীক্ষায় যাতে কেউ এ ধরনের কোনো গুজব না ছড়ায় সে জন্যই কঠোর হওয়ার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, “কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়িলে, দেখিলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন অথবা যা দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হয়, তাহলে তার এই কাজ হবে একটি অপরাধ।”
এই অপরাধ করলে অপরাধী অনধিক ১৪ বছর ও অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে।
আইনের এই ধারাটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। সম্প্রতি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ওই ধারাটি বিলুপ্ত করে তা আরও স্পষ্ট করে সাইবার অপরাধ দমন আইন প্রণয়ন করে তাতে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ ১০টি বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ জন।