মাছে ভাতে বাঙালি এই প্রবাদ তো শুধু আমাদেরই আছে। কিন্তু এই মাছ এবং ভাত একসঙ্গে এখন শুধু আমরা একাই চিন্তা করি না। ইন্দোনেশিয়ায় শুরু হয়েছে ধানক্ষেতে মাছের চাষ। এবং এর ফলে দ্বিগুণ লাভ গুনছেন চাষিরা।
এই পদ্ধতিতে মাছ এবং ধান দুটোই একসঙ্গে চাষ করা হয়। এই চাষ করার জন্য ধানক্ষেতের গভীরতা (১০-৩০ সেমি) হতে
হয়। সাধারণত কার্প জাতীয় মাছ এই জমিতে চাষ করা হয়। কার্প জাতীয় মাছ গুলো ঘরকুনো হয়ে থাকে। এরা খাদ্যের সন্ধানে মাটি আলগা করে। ফলে জমির মাটি আলগা হয় এবং বায়ু চলাচল বেশি হয়।
মাছ আগাছা ও উদ্ভিদ খেয়ে থাকে, বিভিন্ন কিট এবং লার্ভা খেয়ে থাকে ফলে ধানের রোগ কম হয়ে থাকে। এবং মাছের বিষ্ঠা সার হিসেবে ব্যাবহার হয়। কৃষকদের মতে এর ফলে ধানের ফলন ১০% বেশি হয়।
ধানের ক্ষেতের সারিতে দূরত্ব দিতে হয় ৩৫ সেমি এবংক্ষেতের ৫০% পানিতে নিমজ্জিত রাখতে হয়। মাছ ছারার পূর্বে পানিতে সামান্য চুন এবং জৈব সার প্রয়গ করা হয়। ক্ষেতে ধানের বীজ যখন অঙ্কুরিত হয় তখন পানির উচ্চতা ১২-১৫ সেমি তে উন্নিত করা হয় এবং মাছের পোনা উন্মুক্ত করা হয়।
চার মাস পর আগে ধান কাটা হয় এবং পরবর্তিতে খুব সহজেই মাছ ধরা হয়। এভাবে মাছ এবং ধান চাষের মাধ্যমে প্রোটিনের অভাব দূর করছে।