সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে মতামত দিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্যরা। তবে পার্টির চেয়ারম্যানের উপর বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছেন সদস্যা। পরিবেশ পরিস্থিতর ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিবেন তারা। কারণ জাতীয় পার্টির রাজনীতি জনগণের কাছে পরিষ্কার করা উচিত বলেও মনে করেন তারা।
রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে দলটির চেয়ারম্যানের বনানীর রাজনৈতিক কার্যালয় এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
আগামী ১৬ এপ্রিল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় পার্টির জাতীয় সম্মেলন হবে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে জেলাভিত্তিক মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। এরপর জেলা ও উপজেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে ঢাকায় সভা করা হবে।
রওশন এরশাদ ও দলের মন্ত্রীদের অনুপস্থিতির কারণ কী জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, ‘৩৪ জন সদস্যের মধ্যে ২৪ জন এসেছেন।
রওশন এরশাদের নিজস্ব কর্মসূচি থাকায় তিনি আসতে পারেননি। অনেকে বিভিন্ন কারণে আসতে পারেননি। এতে বিভেদ বোঝায় না।
এরশাদ যেদিকে আছেন, দলও সেদিকে আছে। রওশনও এর বাইরে আছেন, তেমন কথা কখনো বলেননি।’ তিনি আরও বলেন, আজকের বৈঠকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা সরকার থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে মত দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, এ বিষয়ে দলের চেয়ারম্যান যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
জাতীয় পার্টির একজন সাংসদ কিশোরগঞ্জে বলেছেন, সরকারে থেকে জাতীয় পার্টি সুসংগঠিত হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে জি এম কাদের বলেন, ‘এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত। জাতীয় পার্টির মূল শক্তি হচ্ছে জনগণ।’