“আবাসিক খাতে আগামী দিনে সবাই এলপিজিতে চলে যাক, আমরা এটা চাইছি।”
আবাসিক খাত বাদ দিয়ে শুধু শিল্প খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কিনা- এ প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমি সেটাও বলছি না। আমরা চাইছি, যে পরিবর্তনটা আসছে, সেটার দিকে যেন সবাই ধাবিত হয়। আমরা চাইছি এলপিজি যাতে কাজে লাগে। সেটা সকলের জন্য সাশ্রয়ী করার চেষ্টা হচ্ছে, সকলে যাতে সেটা পায়।
আগামী তিন বছরে বাংলাদেশে আবাসিক চাহিদার ৭০ শতাংশ যাতে এলপিজি থেকে ব্যবহার করা যায়, সরকার সেই পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বলে জানান তিনি।
শীত মৌসুম দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিক গ্যাসের আবাসিক সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয়। এবার সেই সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করায় ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে বাসাবাড়ির গ্রহকদের অভিযোগ আর ভোগান্তির খবর আসতে থাকে। এই সঙ্কটের ধাক্কা লেগেছে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতেও, যা ক্রমেই বাড়ছে।
আবাসিক গ্রহকদের আশার কথা শোনাতে না পারলেও শিল্প মালিকদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “শিল্প এলাকায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা মালিকদের বলেছি, শিল্প এলাকায় যে পরিমাণ গ্যাস দরকার, হয়তো পাঁচ-ছয় মাস সময় লাগতে পারে, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় আসতে সে সময়টা লাগবে।”
আর আবাসিক খাতে গ্যাসের যে এখন সমস্যা হচ্ছে, দুই-তিন দিনের মধ্যে তা কমে আসবে বলে আশা করছেন প্রতিমন্ত্রী।
“বাখরাবাদ পাইপ লাইনে যে সমস্যা সেটার সমাধান করা হচ্ছে। এটার জন্য তিন-চারদিন লাগতে পারে।”
নসরুল হামিদ বলেন, ভবিষ্যতে এলপিজি ব্যবহার করলে এই চাপের সমস্যা থাকবে না। এলপিজি-র দাম এখন অনেক কমে গেছে এবং আরও কমাতে সরকার কাজ করছে।