বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের মুকুটহীন রাজা- নায়করাজ রাজ্জাক। ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে শুরু…এরপর নিরন্তর বয়ে চলা। কিংবদন্তি এই অভিনেতার আজ ৭৫তম জন্মদিন।
একসময় সিনেমার পর্দায় তরুণ অভিনেতা রাজ্জাককে কাঁদতে দেখেছেন অনেকেই। চরিত্রের প্রয়োজনে তাঁর সেই কান্না কাঁদিয়েছে বাংলার লাখো দর্শককেও। কিন্তু কোনো সিনেমার চরিত্রের প্রয়োজন ছাড়াই কিংবদন্তি এই অভিনেতার আজ জন্মবার্ষিকীতে এফডিসিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কেঁদে ফেললেন ‘নায়করাজ’ রাজ্জাক।
আজ শনিবার বিকেলে এফডিসির পরিচালক সমিতিতে তাঁর জন্মদিন উদ্যাপন উপলক্ষে বহুদিন পর এসেছিলেন নায়করাজ খ্যাত এই অভিনেতা। রাজ্জাকের সঙ্গে ছিলেন দুই পুত্র বাপ্পারাজ, সম্রাট এবং তাঁর নাতনি। রাজ্জাকের জন্মদিন উপলক্ষে পরিচালক সমিতির আয়োজনটিতে অংশ নেন পরিচালক, প্রযোজকসহ চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট আরও অনেকে। তাঁরা সবাই রাজ্জাককে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে নায়করাজ রাজ্জাক তাঁর চলচ্চিত্র জীবনের বিভিন্ন স্মৃতিকথা বলতে গিয়ে একপর্যায়ে কেঁদে ফেলেন। রাজ্জাকের কান্নায় পাশে বসে থাকা নন্দিত চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেন, অভিনেতা হাসান ইমাম, চিত্রগ্রাহক আফজাল এইচ খানসহ অনেকেই সে সময় তাঁদের অশ্রুসিক্ত চোখ মুছতে থাকেন।
এ উপলক্ষে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। চ্যানেল আই আয়োজন করেছিল ৩ দিনের ভিন্নমাত্রার অনুষ্ঠানের। দেড়ঘণ্ঠাব্যাপি সরাসরি চলমান তারকাকথন অনুষ্ঠানে রাজ্জাকের অংশগ্রহণ যোগ করেছে ভিন্নমাত্রা। যেখানে প্রধানমন্ত্রী ফুলের শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল।