ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে মরহুমের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ৩১, হোসনি দালানে আজিজের বাসায় যান প্রধানমন্ত্রী। এরপর এমএ আজিজের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর এমএ আজিজের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা ও সমবেদনা দেন তিনি। এসময় ওই বাসায় আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা পর প্রধানমন্ত্রী সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এমএ আজিজ। বাদ মাগরিব বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আর দ্বিতীয় নামাজে জানাজা হবে রাত ৮টায় আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে। রাতেই আজিমপুর কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে।
মৃত্যুকালে এমএ আজিজের বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। পুরনো ঢাকার বিখ্যাত সরদার পরিবারের এ সন্তান ১/১১ প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন।
২০০৩ সালে সম্মেলনে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ঢাকা মহানগরের সভাপতি নির্বাচিত হলে ওই কমিটিতে সহসভাপতি হন আজিজ। একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলায় আহত হানিফ ২০০৭ সালে মারা যাওয়ার পর আজিজকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারপর থেকে তিনি এই দায়িত্বেই ছিলেন।
২০১২ সালে কাউন্সিল হলেও নতুন কমিটি গঠিত না হওয়ায় আজিজ আগের মতোই ভারপ্রাপ্ত সভাপতির হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
আজিজের তিন ছেলের মধ্যে বড় জন উমর বিন আব্দুল আজিজ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।