বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪

পাঠ্যপুস্তকে জিয়া বিকৃত হচ্ছেঃ ফখরুল

যা যা মিস করেছেন

পাঠ্যপুস্তকে জিয়াউর রহমানকে ‘বিকৃতভাবে’ উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জিয়ার জন্মদিনে মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেছেন, “আজ আমাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের যে বই পড়ানো হয়, তাতে জিয়াউর রহমান সম্পর্কে খুব খারাপ কথা লেখে হয়েছে। জিয়াউর রহমান না কি হত্যাকারী- এধরনের কথা লেখা।”

mirja fokhrul the mail bd

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে সেনা কর্মকর্তা জিয়ার সম্পৃক্ততার অভিযোগ করে আসছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা নেওয়ার পর কর্নেল আবু তাহেরকে সামরিক আদালতে বিচারের নামে হত্যা করেন বলে আদালতের রায়ে উঠে আসে।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সমরনায়ক এবং পরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়ার ‘আসল চেহারা’ ও ‘চিন্তা-চেতনা’ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সবাইকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

৮০তম জন্মবার্ষিকীতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘অবরুদ্ধ গণতন্ত্র, বিপন্ন দেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ফখরুল।

এর আগে সকালে ফখরুলসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে শেরেবাংলা নগরে জিয়ার কবরে ফুল দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের জিয়ার পথ অনুসরণের পরামর্শ দেন ফখরুল ।

“জিয়াউর রহমান ছিলেন বড় মাপের রাজনীতিবিদ। তার বড় গুণ ছিল সততা। এই সততাকে সামনে নিয়ে মানুষের কল্যাণে আমাদের কাজ করতে হবে। নতুন ধরনের রাজনীতির পথে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”

জিয়া জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার রাজনীতি করেছেন বলে দাবি করেন তৎকালীন উপ প্রধানমন্ত্রী এস এ বারী এটির একান্ত সচিব ফখরুল।

“জিয়াউর রহমান সাহেব পার্লামেন্টে কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের নিয়ে এসেছিলেন। ওই পার্লামেন্টে রাশেদ খান মেনন ছিলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন, মোজাফফর আহমেদ ছিলেন। সকলকে নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।”

তখনকার একটি ঘটনা তুলে ধরে ফখরুল বলেন, “আমি নাম বলব না, নাম বললে চিনে যাবেন। যেদিন চট্টগ্রামে প্রেসিডেন্ট জিয়া নিহত হলেন, সে সময়ে আওয়ামী লীগের বড় এক নেতা আমার রুমে এক কাজে এসেছিলেন।

“প্রেসিডেন্ট নিহত হওয়ার সংবাদ শোনামাত্র তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন। দুঃখ প্রকাশ করে আমাকে বললেন, ‘আলমগীর কী বলব, গণতন্ত্রের একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেল’। বিরোধী রাজনীতিকরা একটা অভিভাবক পেয়েছিল, গণতন্ত্র একটা অভিভাবক পেয়েছিল, সেই অভিভাবক চলে গেলেন’।”

“আজকের মতো গণতন্ত্রের লেবাস পরে জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন বা স্বৈরশাসন করতে চাননি। তিনি গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন,” বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।

 

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security