শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪

মন্ত্রীরা কী করছেনঃ সুরঞ্জিত

যা যা মিস করেছেন

বেতন কাঠামো নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনে অচল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সচল করতে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকেই উদ্যোগ নিতে হওয়ায় সরকারের মন্ত্রীদের এক হাত নিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি প্রশ্ন করেছেন, “সবকিছু প্রধানমন্ত্রীকেই সমাধান করতে হবে কেন?”

Shuronjit the mail bd
                                                             সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (ফাইল ছবি)

নয় মাস আগে অষ্টম বেতন কাঠামোর প্রস্তাব আসার পর গ্রেডে অবনমন ও টাইম স্কেল বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবি পর্যালোচনায় অর্থমন্ত্রীকে প্রধান করে শিক্ষামন্ত্রীসহ জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে সরকার।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকও করলেও কোনো ফল হয়নি; অর্থমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন বেতন কাঠামোর গেজেটে নেই অভিযোগ করে আন্দোলনে রয়েছেন শিক্ষকরা।

দাবি আদায়ে গত সোমবার থেকে সারা দেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন শিক্ষকরা, যাতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।

অচলাবস্থা কাটাতে শিক্ষক সমিতির নেতাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বিকালে গণভবনে ডেকেছেন বলে কর্মবিরতির সপ্তম দিনে রোববার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন।

সোমবার দুপুরে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আজকে একটি সমাধানে পৌঁছাবে এবং সবার জন্য গ্রহণযোগ্য একটি সমাধান আসবে বলে আমরা আশা করছি; এতে জাতি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে।

“তবে সবকিছু প্রধানমন্ত্রীকে সমাধান করতে হবে কেন? সরকারের বাঘামন্ত্রী, আমলামন্ত্রী, সিংহমন্ত্রী ছাড়াও রাবিশ-খবিশ তো আছেনই। আপনারা এত দিন কোথায় ছিলেন?”

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগ সব সময়ই সংবেদনশীল বলে দাবি করেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য। দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় চার নেতার অন্যতম এম মনসুর আলীর ৯৮তম জন্মদিন উপলক্ষে এ আলোচনা সভা হয়।

বিএনপির সমালোচনা করে সভায় সুরঞ্জিত বলেন, “তারা একটি ক্ষমতা ও ষড়যন্ত্রধর্মী রাজনৈতিক দল। এর জন্যই কখনও পথ হারাচ্ছে, কখনও পথে আসছে। বিএনপি এখন নানা সঙ্কটে আছে। কোনটি আসল বিএনপি কোনটি নকল সেটা এক্স-রে করেও বের করা সম্ভব নয়। এমআরআই করতে হবে। ক্ষমতা ছাড়া তাদের কোনো রাজনৈতিক দর্শন নেই।”

সম্প্রতি পুলিশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই কর্মকর্তাকে নির্যাতনের ঘটনায় সরকারের এ বাহিনীর সমালোচনাও করেন তিনি।

“মুক্তিযুদ্ধ থেকে পুলিশের জন্ম। এর জন্য আমরা গর্ববোধ করি। কিন্তু সম্প্রতি পুলিশের কিছু কিছু ঘটনা আমাদের অনেক পীড়া দেয়। সেবামূলক অবস্থান থেকে পুলিশের বিচ্যুতি হয়েছে এটা আমাদের বিব্রত করে।

“রক্ষক যদি ভক্ষক হয়ে যায়, তবে এ ব্যাপারগুলো অত্যন্ত দুঃখজনক।”

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security