কর্মবিরতির সপ্তমদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটাতে শিক্ষক সমিতির নেতাদের ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার বিকালে গণভবনে তাদের এই সাক্ষাৎ হওয়ার কথা বলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন।
ওই দিন বিকাল সাড়ে ৪টায় গণভবনে পিঠা উৎসবে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের আমন্ত্রণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
“ওই অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে বসবেন,” বলেন অধ্যাপক ফরিদ।
দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির মোর্চা শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন অষ্টম বেতন কাঠামোয় ‘অসঙ্গতি’ নিরসনের দাবিতে চলমান শিক্ষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে একটি প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হয়েছে বলে অধ্যাপক ফরিদ জানান।
তিনি বলেন, শিক্ষক সমিতির ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন তারা।
নয় মাস আগে অষ্টম বেতন কাঠামোর প্রস্তাব আসার পর গ্রেডে অবনমন এবং সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা।
দাবি আদায়ে গত সোমবার থেকে সারা দেশের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করেছেন শিক্ষকরা, যাতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।
শিক্ষকদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তুললেও শিক্ষক সমিতি নেতা ফরিদ উদ্দিন একাধিবার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাঁচ মিনিট বসতে পারলে এই সঙ্কটের সুরাহা বলে তারা মনে করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে শুরু থেকেই চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন বলেও জানান অধ্যাপক ফরিদ। গত আট মাসে কয়েক দফা চিঠি পাঠিয়ে তার কোনো সাড়া পাননি বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো চিঠি ‘আমলাদের বলয় ভেঙে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যায়নি বলেও অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন।
সম্প্রতি তিনি বলেন, “গত আট মাসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আমরা অন্তত ছয় বার চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু সেখান থেকে কোনো সাড়া পাইনি। “একটি মহল প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিক্ষকদের বক্তব্যগুলো খণ্ডিতভাবে উপস্থাপন করেছে। আমরা মাত্র পাঁচ মিনিট সময় পেলেও তাকে বিষয়টা বুঝিয়ে বলতে পারতাম।”