রাজধানীকে দূষণমুক্ত করতে প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে আদালতে যেতে রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। ‘আপনার সচেতনাই পরিবর্তনের শক্তি’- এই স্লোগান নিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে পরিচালিত পরিচ্ছন্নতা অভিযানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিচারপতি সিনহা বলেন, “আজ কলুষিত জীবন মানুষের.. দিল্লী শহর সমস্ত গাড়ির কালো ধোঁয়ায় কলুষিত হয়েছিল এবং সেখানে দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী বললেন যে গাড়িগুলো প্রত্যেক দিন চলবে না, জোড় ও বেজোড় নম্বরে পালা করে চলবে। তখন ভারতের প্রধান বিচার বললেন যে শহরকে পরিষ্কার করার জন্য, কলুষমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনে তিনি বাসে করে এমনকি হেঁটে কোর্টে যাবেন।
“আমিও একই সুরে… মাননীয় মেয়রকে বলছি, যে আপনি কলুষমুক্ত করতে যত ধরনের উদ্যোগ প্রয়োজন নিন, প্রয়োজনে আমিও হেঁটে কোর্টে আসতে রাজি আছি। কিন্তু আপনি কলুষমুক্ত করুন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন যৌথভাবে ‘পরিচ্ছন্ন বছর ২০১৬’ এই শিরোনামে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আয়োজন করে।
এ উদ্যোগের প্রশংসা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এটা তো একটা পবিত্র জায়গা। আমাদের জনবল ও অর্থনৈতিক অনেকগুলো সমস্যার কারণে এই পবিত্র জায়গা আমরা পরিষ্কার রাখতে পারছি না।… এটি সর্বোচ্চ আদালত। এখানে মানুষ বিচারপ্রার্থী হিসেবে আসেন, এখানে পরিবেশটাও সেরকম হতে হবে। এ প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়াতে হলে এটা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।”
শহরের বর্জ্য থেকে বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে পারলে ঢাকা শহর আরও সুন্দর হবে মন্তব্য করে মেয়রের এই উদ্যোগে পূর্ণ সহযোগিতা করে যাওয়ার আশ্বাস দেন প্রধান বিচারপতি।
ঢাকা দক্ষিণের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, “আসুন, আমরা সবাই মিলে এই শহরকে পরিচ্ছন্ন একটি নগর হিসেবে গড়ে তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে দিই।”
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে হাই কোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন ও অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. সাব্বির ফয়েজ, প্রধান বিচারপতির আপিল বিভাগের সচিব আনিসুর রহমান ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মো. রকিব উদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।