আজ মঙ্গলবার প্রধান দুই রাজনৈতিক দল রাজধানীতে সমাবেশ করবে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ দুটি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। বেলা আড়াইটায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ও ধানমন্ডি-৩২ নম্বর সড়কের রাসেল স্কয়ারে সমাবেশ দুটি হবে। বিএনপির সমাবেশ বেলা দুইটায় নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে।
প্রধান দুই দলের তিনটি সমাবেশের কারণে আজও রাজধানীতে ব্যাপক যানজট ও জনদুর্ভোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, তিনটি সমাবেশই হবে ব্যস্ততম সড়কে। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শোভাযাত্রার কারণে গতকালও রাজধানীতে দিনভর যানজটে মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।
এই দুই দলের বাইরে এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর দোলাইরপাড়ে ‘গণতন্ত্রের জন্য শান্তির মিছিল’ করবে। আর বিএনপি জোটের শরিক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দিনটি মিছিল, সমাবেশ ও আলোচনা সভার মাধ্যমে পালন করার জন্য দলটির সব শাখাকে নির্দেশ দিয়েছে। তবে তারা কোনো স্থান বা সময় উল্লেখ করেনি।
অবশ্য এর আগে দুই দলই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু সেখানে কেউই অনুমতি পায়নি। গতকাল দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দুই দলকে নিজ নিজ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার কথা জানান।
এর আগে আওয়ামী লীগ ৫ জানুয়ারি ঢাকায় মোট ১৮টি সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল। এখন তা কমিয়ে দুটি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ১৮টি স্থানে কর্মসূচি পালন করলে যানজট হতো। তাই জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে কর্মসূচি কমিয়ে আনা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের সব মহানগর, জেলা ও উপজেলাতেও শোভাযাত্রা ও সভা-সমাবেশ হবে।
বিএনপির সমাবেশে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অংশ নেবেন। গতকাল সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। এর আগে দুপুরে নয়াপল্টন কার্যালয়ে জনসভার প্রস্তুতি নিয়ে দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে যৌথসভা করেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দুটি সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা ভাগ হয়ে সমাবেশে অংশ নেবেন। গতকাল বিকেলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি সভা করে।
গত বছর থেকে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বর্ষপূর্তিকে আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ ও বিএনপি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করছে।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কিছু শর্ত সাপেক্ষে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। এর মধ্যে অন্যতম শর্ত হচ্ছে কার্যালয়ের সম্মুখে জনসভার কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, রাস্তা ব্যবহার না করে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সম্মুখে স্বল্প পরিসরে মঞ্চ নির্মাণ করা যাবে। স্বল্পসংখ্যক মাইক ব্যবহার করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবে না, মিছিল করে সমাবেশে আসা যাবে না, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জনসভাস্থলের ভেতরে ও বাইরে উন্নত রেজল্যুশনের সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং বিকেল পাঁচটার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে।