প্রতিবছরের মতো এবারও নতুন বছরের প্রথম দিন শুরু হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা, যাতে এবার ২২ দেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। শুক্রবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মেলার উদ্বোধন করেন।
মাসব্যাপী এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। প্রাপ্তবয়স্করা ৩০ টাকায় এবং শিশু ও কিশোররা ২০ টাকায় টিকিট কিনে মেলায় ঢুকতে পারবেন।
মরিশাস, ঘানা, জাপান, নেপাল, হংকং, মরক্কো ও ভুটান এবারের ঢাকা বাণিজ্য মেলার নতুন দেশ। এছাড়া রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি ও আরব আমিরাত।
গত দুটি বছর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অনেক শঙ্কা-ভয়ের পরিবেশে মেলা হলেও এবার পরিস্থিতি ব্যবসা বাণিজ্যের ‘অনুকূলে’ হওয়ায় রেকর্ড পরিমাণ বেচা-বিক্রির আশা করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এ মেলার আয়োজক।
গতবছর এ মেলায় ৮৫ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। তার আগের বছর পাওয়া যায় ৮০ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ।
এবারের মেলা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হবে এবং প্রতিদিন অন্তত একলাখ দর্শনার্থী এ মেলায় আসবেন বলেও আশা করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
আগারগাঁওয়ে ৩১ দশমিক ৫৩ একর আয়তনের মাঠে এবারের মেলায় ছোট বড় মিলিয়ে মোট ৫৫৩টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬টি ছোট-বড় স্টল ও প্যাভিলিয়ন।
পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, মা ও শিশু কেন্দ্র, শিশুপার্ক, ইকোপার্ক, ই-শপ, ই-পার্ক, ৫২টি টয়লেট, মসজিদ, তিনটি স্থানে ৭৭০টি গাড়ির পার্কিং, মাদার কেয়ার সেন্টার ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থাকছে।
এছাড়া অগ্নি-দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার ব্রিগেডের ব্যবস্থা ও মেলার চারপাশে ১০০টি সিসি ক্যামেরাও থাকছে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আগারগাঁওয়ে বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে এলেও ২০১৮ সালের পর থেকে তা স্থায়ীভাবে পূর্বাচল এলাকায় চলে যাবে।
চীনের আর্থিক সহায়তায় সে দেশের একটি প্রতিষ্ঠান পূর্বাচলে ২০ একর জমির উপর স্থায়ীভাবে মেলার স্থাপনা নির্মাণ করবে।