আসছে ২৫ ডিসেম্বর বড় দিন। এ দিন শিল্পকলার স্টুডিও থিয়েটার মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে ম্যাড থেটারের প্রথম প্রযোজনা ‘নদ্দিউ নতিম’। প্রায় দু’ঘন্টা দৈর্ঘ্যের নাটকটি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘কে কথা কয়’ উপন্যাস অবলম্বনে রূপান্তর ও নির্দেশনা দিয়েছেন আসাদুল ইসলাম। নাটকটির সহযোগী নির্দেশক আনিসুল হক বরুণ, সেট ও লাইট ডিজাইন ফয়েজ জহির, পোশাক সোনিয়া হাসান এবং আবহসঙ্গীত আর্য মেঘদূত।
এখনকার সময়ে দু’ঘন্টার নাট্য প্রদর্শনী হয় না বললেই চলে। এখন প্রায় সব নাট্যদলের নাটকের গড় ব্যাপ্তি দেড় ঘন্টা। সেখানে ম্যাড থেটার আগামী ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ করবে ‘নদ্দিউ নতিম’।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, মতিন একজন কবি। মনে মনে নিজেকে কল্পনা করে নেয়- সে একজন উজবেক কবি। নিজেই সে নিজেকে স্বপ্ন দেখে- ধবধবে ফর্সা গায়ের রং, পরনে জোব্বার মতো একটা পোশাক, লম্বাটে মুখ, চোখ তীক্ষ্ণ। মতিনের মধ্যে বাস করে অন্য এক মতিন। দিনে দিনে মতিন উদ্দিন হয়ে ওঠে নদ্দিউ নতিম। মতিনের হৃদয়ের সবটুকু দখল করে থাকে সহপাঠিনী নিশু। ভাবের ভেলায় ভেসে বেড়ালেও ভাবাবেগে মতিন ডুবে যায় না, সে বুঝতে পারে নিশুর মতো স্কলার মেয়ের যোগ্য সে নয়।
মতিনের একদিন চোখে পড়ে পত্রিকার পাতায় তিন লাইনের ছোট্ট একটা বিজ্ঞাপন- একজন সার্বক্ষণিক টিউটর প্রয়োজন, টিউটরের সৃজনশীলতা ব্যক্তিগত যোগ্যতা হিসাবে ধরা হবে, বেতন আকর্ষণীয়। বেতনের আকর্ষণীয় ক্ষমতায় মতিন তার কবি সত্ত্বাকে সাময়িক স্তিমিত রেখে কমল নামের একজন মানসিক প্রতিবন্ধী বাচ্চার টিউটর পদে অভিসিক্ত হয়। মতিনের কর্মকাণ্ডে অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হওয়ায় তাকে টিউটর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। কিন্তু প্রতিবন্ধী বাচ্চাটি কবিকে ভুলে না। বাচ্চাটি কবির সঙ্গে কথা বলতে চায়, কিন্তু সে সুযোগ তো আর নেই। কবি চলে গেছে। বাচ্চাটি জেদ ধরে- সে কথা বলবেই বলবে। এক পর্যায়ে সুযোগ হয় কবির সাথে কথা বলার। কমল মতিনের সঙ্গে তার জীবনের একটি সিক্রেট শেয়ার করে, যে সিক্রেটের জন্য মতিনকে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়াতে হয়। হাসপাতালের এক হিমশীতল ঘরে সে শুয়ে থাকে। তার কাছে মনে হয়, সে যেন অনন্তকাল এভাবেই শুয়ে ছিল। কী সেই সিক্রেট যার জন্য কবিকে জীবন দিতে হলো? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে ম্যাড থেটারের প্রথম প্রযোজনা নদ্দিউ নতিম।
নাটকটির অগ্রিম টিকেট পাওয়া যাচ্ছে চিলেকোঠা ও কফি হাউজে।