শনিবার, এপ্রিল ১৩, ২০২৪

হার্ট অ্যাটাক ও ক্যান্সার প্রতিরোধে বিয়ার!

যা যা মিস করেছেন

বিয়ারকে অনেকেই মদের সাথে তুলনা করেন। তবে বাস্তবতা হলো- বিয়ারে অ্যালকোহলের মাত্রা অনেক কম থাকে। বিয়ারে পানে ক্ষতিকর দিকের চেয়ে উপকারী দিক বেশি।

খুবই অল্প পরিমাণে যারা বিয়ার পান করেন তাদের জন্য উপকার হতে পারে। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় পান করলে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি।

beer the mail bd

১. দীর্ঘজীবন লাভে সহায়তা করে: বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, সীমিত পরিসরে বিয়ার পান দীর্ঘজীবন লাভে সহায়তা করে। পরিমিত মাত্রায় বিয়ার পান মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখে, উদ্দীপনা বাড়ায়, স্বাস্থ্যের উন্নয়ন করে।

২. বিয়ার প্রাকৃতিক উপাদান সম্পন্ন: অনেকেই ভাবেন বিয়ারে প্রিজারভেটিভ এবং কৃত্রিম উপাদানে ভরপুর। প্রকৃত তথ্য হচ্ছে, বিয়ারে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হয় বেশি যেমন- কমলা বা আপেলের জুস, দুধ ইত্যাদি। বিয়ারে প্রিজারভেটিভ দরকার হয় না, কারণ এতে অল্প পরিমাণে অ্যালকোহল, গম এবং হপস (এক ধরনের উদ্ভিদ) ব্যবহৃত হয়। যা প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ হিসাবে পরিচিত।

৩. বিয়ারে অল্প পরিমাণে ক্যালোরি ও শর্করা থাকেঃ  এতে চর্বি এবং কোলেস্টেরল থাকে না।

৪. বিয়ার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে: বিয়ারে কোলেস্টেরল না থাকলেও এটি শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। বিয়ার ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের এলডিএল কমিয়ে উপকারী কোলেস্টেরল এইচডিএলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন একটি ছোট বিয়ার পান শরীরের জন্য উপকারী এইচএলডি কোলেস্টেরলের মাত্রা ৪ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।

৫. উদ্দীপনা যোগায়: বিয়ার আপনাকে চাঙ্গা রাখতে সহায়তা করবে। তাছাড়া কর্মশক্তিও বৃদ্ধি করে।

৬. ভিটামিন-বি: বিয়ারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-বি রয়েছে। বিশেষ করে এতে বিদ্যমান ফলিক অ্যাসিড হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। বিয়ারে দ্রবণীয় আঁশ চর্বি শোষণ করতে সহায়তা করে। তাছাড়া, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়।

৭. বিয়ার পানির চেয়ে নিরাপদ: আপনি সব জায়গায় নিরাপদ পানি পাবেন না। সেক্ষেত্রে বিয়ার খেতে পারেন। বিয়ার যে তরল পদার্থে তৈরি, তা সব সময়ই সেদ্ধ করা থাকে।

৮. হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে: আমেরিকারন হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, অন্যান্য অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়র চেয়ে ওয়াইনে বেশি উপকারী উপাদান আছে তার কোনো প্রমাণ নেই। ১৯৯৯ সালে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিমিত মাত্রায় প্রতিদিন তিনবার বিয়ার পান করলে করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি ২৪ দশমিক ৭ শতাংশ কমে।

৯. ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে: যুক্তরাষ্ট্রের ওরিজন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও আণবিক বিষবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. ক্রিস্টোবাল মিরিন্ডা বলেন, বিয়ারে হপসে জান্থোমল ব্যবহার করা হয়। জান্থোমলে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ক্যানসার তৈরিকারী এনজাইমের বিরুদ্ধে কাজ করে।

১০. মেদ কমায়: লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এর এক গবেষণায় বলা হয়, পরিমিত মাত্রায় বিয়ার পান করলে শুধু মেদ ঝরায় না, পরিপাক প্রক্রিয়াতেও সহায়তা করে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security