রাজধানীর ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় দোকানিদের সংঘর্ষে বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে মারামারি থামিয়েছে পুলিশ।
বুধবার বিকালে তাদের সংঘর্ষের কারণে মিরপুর সড়কে এক ঘণ্টার বেশি সময় গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। এসময় এক সাংবাদিকের মোটর সাইকেলসহ চারটি মোটর সাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।
সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। এদের মধ্যে দুজন শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং একজনকে পপুলার মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের সূত্রপাতের জন্য শিক্ষার্থী এবং ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকানকর্মীরা পরস্পরকে দায়ী করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকাল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কলেজের বিপরীত পাশে ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকানকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় পাশের অন্য বিপণি বিতানের কিছু কর্মীও ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেটের সহকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেয়।
উভয় পক্ষ পরস্পরের দিকে ইট ছুড়তে থাকে। কয়েকটি গাড়িও ভাংচুর হয়।
কয়েকশ ছাত্র ও সমান সংখ্যক দোকানকর্মীদের সংঘর্ষের কারণে তখন মিরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বলে পুলিশ পরিদর্শক (পেট্রোল) সাজ্জাদ হোসেন জানান।
পুলিশ গিয়ে প্রথমে উভয় পক্ষকে হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালায়। এরপর রবার বুলেট ও কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে বলে জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। এরপর বিকাল ৫টার দিকে দুই পক্ষ সরে গেলে সড়কে গাড়ি চলাচল পুনরায় শুরু হয়।
কী কারণে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত, সে বিষয়ে পুলিশের কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে শিক্ষার্থী ও দোকানকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শাড়ি কেনাকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কি থেকে এই সংঘর্ষ বাঁধে।