শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের দিবস আজ

যা যা মিস করেছেন

বাংলার দামাল ছেলেরা জীবন বাজি রেখে  দিন-রাত ভুলে যুদ্ধ করেছিল শত্রুসেনার বিরুদ্ধে। সে-সময় বাংলার এই দামাল ছেলেদের নিজ জায়গা থেকে সহযোগিতা চালিয়েছিল বাংলার বিভিন্ন পেশাজীবীর শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা। বিজয়ের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের পেছনে এই পেশাজীবীরা তাদের জ্ঞান, বুদ্ধি আর মানসিকতা দিয়ে বাংলাদেশকে বিজয়ের তীরে বয়ে এনেছিল। কিন্তু দেশের এই অর্জনকে তখন মেনে নিতে পারেনি তাদের দেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস। তাই তো দেশ-রূপকার এই বুদ্ধিজীবীদের ঘর থেকে নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদেরকে চোখ, হাত বেঁধে হত্যা করা হয়। সেই ইতিহাসের পাতা থেকে আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। buddhijibi the mail bd

বাংলার বিজয় সুনিশ্চিত জেনেও ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য হাজার হাজার লেখক, বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পি, কণ্ঠশিল্পি, সকল পর্যায়ের শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, রাজনীতিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি, ভাস্কর, সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী, চলচ্চিত্র ও নাটকের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সমাজসেবী ও সংস্কৃতিসেবীদের চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে তাদের ওপর চালায় নির্মম-নিষ্ঠুর নির্যাতন চালায়। তারপর দেশজুড়ে শুরু নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। buddhijibi 1 the mail bd

স্বাধীনতাবিরোধী চক্র বুঝতে পেরেছিল, তাদের পরাজয় অনিবার্য। ওরা আরো মনে করেছিল যে, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা বেঁচে থাকলে এ মাটিতে ওরা বসবাস করতে পারবে না। তাই পরিকল্পিতভাবে জাতিকে মেধাহীন ও পঙ্গু করতে দেশের এসব বরেণ্য ব্যক্তিদের বাসা এবং কর্মস্থল থেকে রাতের অন্ধকারে পৈশাচিক কায়দায় চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে হত্যা করে।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বর ঘটনা, যা বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষকে স্তম্ভিত করেছিল। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরপরই নিকটাত্মীয়রা মিরপুর ও রাজারবাগ বধ্যভূমিতে স্বজনের লাশ খুঁজে পায়।buddhijibi 2 the mail bd

বর্বর পাক বাহিনী ও রাজাকাররা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পৈশাচিকভাবে নির্যাতন করেছিল। বুদ্ধিজীবীদের লাশজুড়ে ছিল আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা, কারো কারো শরীরে একাধিক গুলি, অনেককে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে। লাশের ক্ষত চিহ্নের কারণে অনেকেই প্রিয়জনের মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারেননি।

১৯৭২ সালে জাতীয়ভাবে প্রকাশিত বুদ্ধিজীবী দিবসের সঙ্কলন, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও আন্তর্জাতিক নিউজ ম্যাগাজিন ‘নিউজ উইক’-এর সাংবাদিক নিকোলাস টমালিনের লেখা থেকে জানা যায়, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা মোট ১ হাজার ৭০ জন। শুধু ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ স্বাধীনতার মাত্র ২ দিন আগে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় : শিক্ষক ৯৯০ জন, সাংবাদিক ১৩ জন, চিকিৎসক ৫০ জন, আইনজীবী ৫০ জন, লেখক, প্রকোশলীসহ অন্যান্য বুদ্ধিজীবী ১৮ জন। buddhijibi collection the mail bd

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধকালীন বধ্যভূমি খোঁজার জন্য ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ডিসেম্বর থেকে অবিরাম কাজ করে যায় ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি। সারা দেশে প্রায় ৯৪২টি বধ্যভূমি শনাক্ত করতে করে তারা। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন প্রকাশিত পত্রিকা, এ বিষয়ক বিভিন্ন প্রবন্ধ-নিবন্ধ, গ্রন্থ, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার এবং স্থানীয় লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে এসব বধ্যভূমি খুঁজে বের করা হয়। প্রত্যেক বধ্যভূমিতে ফলক স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়। অধিকাংশ জেলাতেই মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভূমিগুলো হয় রেলের নয়তো সড়ক ও জনপথের আওতাভুক্ত জায়গায়।

মহান মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে শহীদ হওয়া জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের  দ্যা মেইল বিডি পরিবারের পক্ষ থেকে স্মরণ করছি বিনম্র শ্রদ্ধায়।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security