শেয়ারবাজারে ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগসীমা সমন্বয়ের বিকল্প পথ বাতলে দিলেন গভর্নর আতিউর রহমান।এ ক্ষেত্রে ব্যাংক মালিকদের প্রয়োজনে আগ্রাসী (অ্যাগ্রেসিভ) হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি। গভর্নরের মতে,ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন (পেইড আপ ক্যাপিটাল) বাড়িয়ে বিনিয়োগ সমন্বয়ের সুযোগ রয়েছে।
আতিউর রহমান এ সময় বলেন, ‘২০১০ সালে পুঁজিবাজার যেভাবে উন্মাদের মতো এগোচ্ছিল, সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর সিদ্ধান্ত না নিলে দেশের ৮-১০টি ব্যাংক পড়ে যেত। তাই ওই সময় কঠোর হয়ে পুঁজিবাজারকে যেমন বাঁচিয়েছি, ঠিক তেমনি মুদ্রাবাজারকে রক্ষা করেছি। এত দিন পর এসে এ কথা বলতে পারি।’
সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশি (এনআরবি) আয়োজিত এক আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এসব কথা বলেন। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গতকাল শনিবার ‘পুঁজিবাজার ও আবাসনখাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে প্রধান অতিথি ছিলেন গভর্নর।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গভর্নর বলেন, ‘এই ডিসেম্বর মাসে যদি ব্যাংকগুলোর পরিশোধিত মূলধন একটু বাড়িয়ে দেন, তাহলে বিনিয়োগসীমা যদি না-ও কমে, তারপরও অনুপাত (রেশিও) কমে যাবে। প্রয়োজনে এ ক্ষেত্রে এ বছর আপনারা একটু আগ্রাসী হন।’
সেন্টার ফর এনআরবির সভাপতি এম এস সেকিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য পারভেজ ইকবাল, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান, আহসানুল ইসলাম, সাবেক সহসভাপতি আহমেদ রশীদ, মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুরুল আমিন, ঢাকা চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হুমায়ুন রশীদ, আবাসন শিল্প মালিকদের সংগঠন রিহ্যাবের প্রথম সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া প্রমুখ।