অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগ করা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের তলবের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হন ডা. আবুল কালাম আজাদ। পরে দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে অনুসন্ধান টিম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক এই ডিজিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
এর আগে গত ৬ আগস্ট দুটি চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুই দফায় হাজির হতে বলা হয়। একটি চিঠি পাঠান দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী এবং অপরটি পাঠান দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা।
দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা মীর মো. জয়নুল আবেদীন চিঠিতে বলেছেন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিইসহ আনুষঙ্গিক স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনায় কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এসেছে। আবুল কালাম আজাদকে পাঠানো ‘অতীব জরুরি’ তলবি নোটিশে ১২ আগস্ট দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগসংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।
দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা তাঁর নোটিশে আবুল কালাম আজাদকে ১৩ আগস্ট তলব করেছেন। শেখ ফানাফিল্যার চিঠিতে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ও অন্যদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে করোনা সনদ দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এ সম্পর্কে সাবেক ডিজিসহ পাঁচজনের বক্তব্য গ্রহণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। তার পাঠানো চিঠিতে একই দিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান, উপপরিচালক ইউনুস আলী, ডা. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলামকেও তলব করা হয়েছে।