করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষায় পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশে বেসরকারি হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা সম্প্রসারিত করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞরা দিলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, তেমন পরিস্থিতি এখনও হয়নি। করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুতেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচ) যত বেশি সম্ভব নমুনা পরীক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছিল, যত বেশি রোগী চিহ্নিত করা যাবে, তাদের আলাদা করে ফেলতে পারলে বিস্তার ঠেকানো যাবে।
বাংলাদেশে শুরুতে শুধু আইইডিসিআরে ওই নমুনা পরীক্ষা হচ্ছিল। রোগী বাড়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে এখন ২২টি গবেষণাগারে নমুনা পরীক্ষা চললেও বাংলাদেশ এখনও পরীক্ষায় অন্যান্য দেশের চেয়ে পিছিয়ে। আইইডিসিআর প্রতিদিন ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজারের মতো নমুনা পরীক্ষা করছে।
২৬ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৬ হাজার ৪৮৯ নমুনা। এর মধ্যে ঢাকায় ৩২ হাজার ৬২ এবং ঢাকার বাইরে ১৪ হাজার ৫২৭টি। বাংলাদেশে ৪৬ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ৫ হাজার ৪১৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) চলছে নমুনা পরীক্ষা।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বেশি বেশি নমুনা পরীক্ষার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন।
তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখার সুপারিশ করেছিলেন তারা। আর তা মার্চ থেকেই তারা বলে আসছেন। “পর্যায়ক্রমে বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় নমুনা পরীক্ষা করা যেতে পারে। আমরা একটা খসড়া তৈরি করেছিলাম, তাতে একটা গাইডলা্ইন তৈরির কথা। আরটি পিসিআর ল্যাব যাদের আছে, তারা সেখানে পরীক্ষা করতে পারবে।”
তিনি বলেন, “কোয়ালিটি কন্ট্রোলের জন্য আইইডিসিআরের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ থাকতে হবে। ডেটাগুলো আইইডিসিআরকে দেবে। এই কাজের জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি তারা নিতে পারবে। পুরো বিষয়টি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঠিক করে দেবে।”
“আরেকটা বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। তাদেরকে অবশ্যই করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য একটি আইসোলেশন ইউনিট চালু করতে হবে। যাদের এ ধরনের ওয়ার্ড থাকবে, তারাই টেস্টিং সুবিধা পাবে,” বলেন ডা. মুশতাক।
সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর