ঈদ সামনে রেখে মার্কেট খোলার সুযোগ পেয়েই চট্টগ্রামের কিছু ব্যবসায়ী আর ক্রেতারা প্রশাসনের সঙ্গে ইঁদুর-বিড়াল খেলায় মেতে উঠেছেন। মহানগর ও উপজেলায় প্রশাসনের অভিযানের মাঝেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ধার ধারছে না এসব ক্রেতা-বিক্রেতা। সোমবার নগরের রিয়াজুদ্দিন বাজারের বিভিন্ন মার্কেটে এভাবেই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বেচাকেনার দায়ে নয়জনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। অপরদিকে হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বেচাকেনার দায়ে সাতটি দোকানে তালা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের তরফে অনুমতি দিলেও চট্টগ্রামের সব বড় বিপণি-বিতান ও শপিংমলের ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে বন্দরনগরীর ব্যক্তিগত দোকান-আউটলেটসহ উপজেলা পর্যায়ের দোকানগুলো খোলা থাকলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বালাই নেই।
কিন্তু চট্টগ্রামে বিক্ষিপ্তভাবে খোলা মার্কেটের দোকানে প্রথম দিন থেকেই স্বাস্থ্যবিধি ব্যত্যয় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে প্রবাসী অধ্যুষিত উপজেলার বেশিরভাগ মার্কেটে মানা হচ্ছে না সরকারি নিয়ম-কানুন। এদিকে দোকান খোলার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধির বিধান নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
সোমবার নগরের রিয়াজুদ্দিন বাজারের বিভিন্ন মার্কেটে অভিযান চালিয়ে নয়জনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। আটকরা সবাই ঈদের কেনাকাটা করছিলেন। তাদের মধ্যে চারজন বিক্রেতা ও পাঁচজন ক্রেতা। এদের বিরুদ্ধে সংক্রমণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘সোমবার কোতোয়ালির বিভিন্ন মার্কেটে কেনাকাটার সময় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় রিয়াজুদ্দিন বাজারের বিভিন্ন মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কেনাকাটার প্রমাণ পাওয়া যায়। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল থেকে নয়জন ক্রেতা-বিক্রেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে আটকদের আসামি করে সংক্রমণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসামিরা এখন জেলহাজতে রয়েছেন। তাদের আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মার্কেটগুলোতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
এদিকে জেলার বোয়ালখালী, পটিয়া, রাউজান ও হাটহাজারীসহ প্রায় সব উপজেলা থেকে স্থানীয় মার্কেট ও দোকানে বেচাকেনার ধুম লেগেছে।