বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

যে পাঁচ ধরনের মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছে বেশি

যা যা মিস করেছেন

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে মারা গেছে এক লাখ ৩৪ হাজার ছয়শ তিনজন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৮৩ হাজার ৩২ জন। আক্রান্তদের অনেকের মধ্যে কোনো লক্ষণই প্রকাশ পাচ্ছে না, আবার কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছে।

গবেষকরা বলছেন, পাঁচ ধরনের কারণে কোনো মানুষের করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এমনকি করোনা আক্রান্ত হলে প্রথমে গুরুতর অসুস্থ, পরে মৃত্যুর শঙ্কা বেশি তাদেরই।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, কভিড-১৯ নতুন রোগ। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য এবং এই কয়েক মাসের অভিজ্ঞতা বলছে, এই ভাইরাস অন্য রোগে আক্রান্তদের মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনো বয়সের মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। এমনকি স্বাস্থ্যবানরাও আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। তবে বয়স্ক, শারীরিকভাবে দুর্বলরা বেশি ঝুঁকিতে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনায় মৃতদের মধ্যে পাঁচটি ধরন দেখা গেছে। সেগুলো হলো-

১. বয়স

গবেষণায় দেখা গেছে, ৭০ বছরের বেশি বয়স্কদের করোনায় মারা যাওয়ার হার অত্যধিক। উহানে গবেষকরা একটি পরিসংখ্যান চালিয়েছেন; সেখানকার দু’টি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ১৯১ জনের মধ্যে বয়সভেদে মৃত্যুর একটি সম্পর্ক দেখেছেন তারা। এমনকি করোনা আক্রান্ত হলে গুরুতর পরিস্থিতি হবে কিনা, সেটাও নির্ভর করছে বয়সের ওপর।

বয়স্কদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় হার্ট, ফুসফুস ও অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতির হাত থেকে তারা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মাধ্যমে রক্ষা করতে পারছে না

২. লিঙ্গ

পরিসংখ্যান বলছে, নারীদের তুলনায় পুরুষের মৃত্যু হচ্ছে বেশি। যদিও এর কারণ এখনো জানতেে পারেননি গবেষকরা। ইতালিতে আক্রান্তদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ পুরুষ হলেও মৃতদের মধ্যে পুরুষের শতাংশ ৬৮। গ্রিসে জনসংখ্যার ৫৫ শতাংশ পুরুষ হলেও করোনায় মৃতদের ৭২ শতাংশ পুুরুষ।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নারীরা বেশিরভাগ সময় পুরুষের চেয়ে ঘরে সময় পার করেন। এমনকি করোনাভাইরাসের বিষয়টিও নারীরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছেন। কিন্তু পুরুষরা সেভাবে বিবেচনা না করে এখনো বাইরে বের হচ্ছেন। ফলে মৃত্যুর হারের দিক থেকেও পুরুষের সংখ্যাটা বেশি হচ্ছে।

৩. শারীরিকভাবে দুর্বল

যেসব মানুষ আগে থেকেই শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে আছেন; বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস, অ্যাজমা, উচ্চ রক্তচাপ, ফুসফুসে সমস্যা, হজমের সমস্যায় ভুগছেন- তাদের মৃত্যু হার বেশি।

নিউ ইংল্যান্ড জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে, উহান শহরে প্রথম এক হাজার জন আক্রান্ত হওয়ার পর যারা মারা গেছেন- তাদের বেশিরভাগেরই ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, হার্টে সমস্যা ও উচ্চ রক্তচাপ ছিল। হঠাৎ করেই সেসব রোগের উপসর্গ বেড়ে গিয়ে তাদের অনেকের মৃত্যু হয়েছে।

৪. ওজন

শারীরিকভাবে বেশি ওজনের মানুষদের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে। ফ্রান্সের গবেষকরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে এতো বেশি মানুষ মারা যাওয়ার প্রধান কারণ হলো বাড়তি ওজন। মোটা মানুষজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকার কথাও বলেছেন গবেষকরা।

৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

করোনাভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি। সে ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা কেবল আক্রান্ত কোনো মানুষকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে টেনে নিয়ে আসতে পারে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, করোনা আক্রান্ত হলে তাদের লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে গুরুতরভাবে। এ ধরনের মানুষকে লাইফ সাপোর্টে পর্যন্ত নিতে হচ্ছে। পরে বেশি সংখ্যক এ ধরনের মানুষ মারা যাচ্ছে।

সূত্র : মিরর

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security