বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১১, ২০২৪

ভারতে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

যা যা মিস করেছেন

মহামারি করোনা যখন চীন, ইউরোপ হয়ে আমেরিকা পর্যন্ত মারাত্মকভাবে বিস্তার ছড়াচ্ছিল তখন ভারতে সংক্রমণ অতটা ছিল না। কিন্তু সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এই দেশটিতে ভাইরাসটির সংক্রমণ এতটাই বাড়তে শুরু করেছে যে সাবধান না হলে হয়তো আগামী দিনগুলোতে তা আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবে।

প্রতিদিনই দেশটিতে নতুন করে প্রায় দশ হাজার মানুষ করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হচ্ছে। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সবশেষ হিসাব অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও ৯ হাজার ৯৮৭ জন শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হলো ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৯৮ জন।

করোনার প্রকোপ অনেক পরে শুরু হলেও ভারত ক্রমাগতই আক্রান্তে শীর্ষে থাকা দেশগুলোকে টপকে যাচ্ছে। বিশ্বের শীর্ষ আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান এখন পঞ্চম। অথচ কয়েকদিন আগেই ছিল ২০ নম্বরে। শুধু ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে যতজন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে উৎপত্তিস্থল চীনেও তা হয়নি।

ভারতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ হতে সময় নিয়েছিল ১১০ দিন। পরবর্তী ১ লাখ সংক্রমিত হয় মাত্র ১৫ দিনে। কিন্তু রোগ ছড়ানোর এখন যা গতি, তাতে মনে হচ্ছে এই সংখ্যাটা ২ থেকে ৩ লাখে পৌঁছাতে মোটে সপ্তাহখানেক লাগতে পারে। দ্রুতগামী সংক্রমণ সরকারের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে।

সোমবার সর্বোচ্চ সংক্রমণ হয়েছে অথচ ওইদিন থেকে করোনা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার বহর কমানোর কারণে শুরু হয়েছে তথাকথিত ‌‘আনলক-১’। বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের কারণে অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রায় পুরোটাই আবার সচল। মৃত্যুর সংখ্যাও রীতিমতো উদ্বেগের। প্রতিদিন তিন শতাধিকেরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে।

ভারতে করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত রাজ্য হলো মহারাষ্ট্র। আর মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি বাজে অবস্থা দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত মুম্বাইয়ের। দেশটির অন্য অঞ্চলগুলোতে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার হলেও শহরটিতে স্কুল, সিনেমা হল, শপিংমল, উপাসনালয় এবং অন্য স্থানগুলো বন্ধ রয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, ভারতে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তদের ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৮৯ জনের মধ্যে ৭ হাজার ৪৬৬ জন মারা গেছে। তবে আক্রান্তদের ১ লাখ ২৯ হাজারের বেশি সুস্থ। এছাড়া হাসপাতাল কিংবা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ লাখ ৩০ হাজার সক্রিয় রোগী।

সাবধান না হলে সামনের পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এইমস) মহাপরিচালক ডা. রণদীপ গুলেরিয়া। এনডিটিভিকে তিনি বলেন, আগামী ২–৩ মাস খুবই কঠিন সময়। কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে এই সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছাতে পারে।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security