শুষ্ক কাশি থেকে শুরু করে তীব্র জ্বর- করোনাভাইরাস এ ধরনের নানা অপ্রীতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে জানা যায়। আর এবার চিকিৎসকরা করেছেন, করোনাভাইরাস হঠাৎ স্ট্রোকের কারণও হতে পারে- আপনি তরুণ এবং স্বাস্থ্যবান হলেও।
নিউইয়র্কের চিকিত্সকরা ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সি করোনা রোগীদের মধ্যে স্ট্রোকের ঘটনা বেড়েছে বলে দেখতে পেয়েছেন। মাউন্ট সিনাই হেলথ সিস্টেমের সার্জন ডা. থমাস অক্সলে সাম্প্রতিক সময়ে স্ট্রোকের জন্য ৫ জন করোনা রোগীর চিকিৎসা করেছেন, তাদের বয়স ৫০ বছরের কম ছিল ও করোনার হালকা উপসর্গ ছিল।
সিএ্নএনকে তিনি বলেন, ‘ভাইরাসটিকে ধমনীতে আরো বেশি রক্ত জমাট বাঁধার কারণ হতে দেখা যাচ্ছে, যার ফলে মারাত্মক স্ট্রোক হয়। আমাদের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত দুই সপ্তাহে অল্প বয়স্ক রোগীদের হঠাৎ স্ট্রোকের ঘটনা সাত গুণ বেড়েছে।’
তিনি জানান, ‘এই রোগীদের বেশিরভাগের চিকিত্সার ইতিহাস নেই এবং তারা কোভিড-১৯ রোগের হালকা লক্ষণগুলো (দুইজনের ক্ষেত্রে কোনো লক্ষণই ছিল না) নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। পরীক্ষায় সকলের করোনা পজেটিভ দেখা গেছে।’
তার মতে, এখন অবধি মানুষকে কেবলমাত্র শ্বাসকষ্ট বা উচ্চ জ্বর উপসর্গের ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ফোন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনার হালকা উপসর্গের পাশাপাশি স্ট্রোকের ঝুঁকিও থাকতে পারে।
স্ট্রোকের ঘটনায় যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। স্ট্রোকের ক্ষেত্রে কয়েকটি ঘন্টা শারীরিক ক্ষতির মাত্রায় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে- এ পার্থক্য নির্ভর করে স্ট্রোকের উপসর্গ দেখা দেয়ার পর দ্রুত জীবন-রক্ষাকারী সেবা নেয়া হয়েছে নাকি হয়নি তার ওপর। যেহেতু স্ট্রোক খুব টাইম-সেনসিটিভ, তাই জরুরি মেডিক্যাল সেবার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।