...
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২, ২০২৪

উপার্জন বন্ধে বিপাকে সড়ক ও নৌ খাতের ৯০ লাখ শ্রমিক

যা যা মিস করেছেন

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে অবরুদ্ধ গোটা দেশ। বন্ধ রয়েছে সড়ক ও নৌ পরিবহন খাতও। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এই দুই খাতের প্রায় ৯০ লাখ শ্রমিক। পরিবহন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে এরই মধ্যে প্রতিদিন কয়েকশ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে পরিবহন খাতে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এই লোকসান গোটা দেশের অর্থনীতিতেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আর এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এই খাতের নিয়োজিত অল্প আয়ের শ্রমিকেরা।

জানা গেছে, সড়ক ও নৌপরিবহন মিলিয়ে পরিবহন খাতে নিয়োজিত প্রায় ৯০ লাখ শ্রমিক। তাদের ৯০ শতাংশই দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সড়ক ও নৌপথে যান চলাচল বন্ধ থাকায় এসব শ্রমিকদের এখন দিন কাটাতে হচ্ছে বসে বসে। ফলে বন্ধ হয়েছে উপার্জন, কাউকে কাউকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এসব শ্রমিকদের সহযোগিতায় কোনো সমন্বিত উদ্যোগও নেই। এর মধ্যে সড়ক পরিবহন খাতের মালিকেরা শ্রমিকদের সহায়তার বিষয়ে আলোচনায় বসলেও উদ্যোগ নেই লঞ্চ মালিকদের।

এ ব্যাপারে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানিয়েছেন, সড়কে ৪ লাখ গাড়ি, ৩ লাখ ট্রাক ও ১ লাখ বাস চলাচল করে। মালিকের আয়, শ্রমিকদের মজুরি সড়কে আরো অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে এই করোনা ভাইরাসের কারণে। এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার কোনো উপায় আপাতত দেখছি না।

শ্রমিকদের সহায়তা প্রসঙ্গে এ পরিবহন নেতা বলেন, আমার এনা ট্রান্সপোর্টের শ্রমিকদের ২০ লাখ টাকার সহযোগিতা এরই মধ্যে দেওয়া হয়েছে। অন্য বাস মালিকেরাও আলাদা আলাদাভাবে শ্রমিকদের সহায়তা দিচ্ছেন। তবে এই দুর্দিনে সমন্বিতভাবে শ্রমিকদের কীভাবে সহায়তা করা যায়, সে বিষয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছি। সরকারে কাছে এ বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে গত ৭ এপ্রিল যাত্রী কল্যাণ সমিতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অবরুদ্ধ পরিস্থিতে কর্মহীন হয়ে পড়া সড়ক ও নৌপরিবহন খাতের ৯০ লাখ শ্রমিকের পাশে দাঁড়াতে বাস ও নৌমালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন পরিবহন বন্ধ থাকায় এসব শ্রমিকদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট পরিবহন মালিকদেরই এগিয়ে আসতে হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লঞ্চমালিক সমিতির সহসভাপতি এবং ‘পারাবত’ লঞ্চের মালিক শহীদ ভূঁইয়া বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে ব্যবসায় বড়ো ধরনের লোকসান গুনতে হচ্ছে আমাদের। এই প্রভাব ভবিষ্যতেও কাটিয়ে ওঠা মুশকিল হবে। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার মালিকানাধীন লঞ্চের সব শ্রমিকদের বেতন-ভাতা শিগগিরই দিয়ে দেব। আপাতত শ্রমিকদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছি। শহীদ ভূঁইয়া বলেন, আমরা এরই মধ্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করে আর্থিক সহায়তা চেয়েছি।

এ ব্যাপারে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে না। তবে নৌপরিবহন মালিকেরা কিছু দাবি-দাওয়া জানিয়েছেন। সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরব।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security
Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.