সোমবার, এপ্রিল ১৫, ২০২৪

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা! তার সমাধান এবং উন্নয়ন।

যা যা মিস করেছেন

আব্দুল মান্নান মল্লিক, কলাম লেখক, দ্যা মেইল বিডি ডট কম।

বর্তমানে বাংলাদেশের এক নম্বর সমস্যা কি? যে কাউকে যদি এ প্রশ্ন করা যায় তাহলে প্রায় সকলে একবাক্যে উত্তর দিবেন বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের এক নম্বর সমস্যা হলো- ঘুষ, দূর্নীতি ও অনিয়ম। কিন্তু কেউ কেউ আবার বলবেন বর্তমান প্রেক্ষাপটে- দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি, বেকার সমস্যা, খাদ্যাভাব, অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি ও আইন শৃংখলার অবনতিই হচ্ছে বাংলাদেশের সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম।

এ কথা কেউই অস্বীকার করবেনা যে উপরে উল্লেখিত সমস্যাগুলো বাংলাদেশে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান সমস্যা। সবাই একবাক্যে এ সমস্যাগুলোর কথা অকপটে স্বীকার করবেন ও এসকল সমস্যার ব্যাপারে কথা তুললেই তারা তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে।

উপরে উল্লেখিত সমস্যাগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমস্যার মধ্যে একটিও পড়ে না। তাহলে কি সমস্যা- “বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা তথা এক নাম্বার সমস্যা?” বর্তমান বাংলাদেশ তথা বিশ্বের অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে জনসংখ্যা সমস্যা। এ সমস্যা গোটা পৃথিবীর জন্য শুধু ভয়াবহই নয়, সরাসরি হুমকি স্বরূপ। জনসংখ্যার এই অবিশ্বাস্য গতি বৃদ্ধির দরুন একে আজ জনসংখ্যা বিস্ফোরণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এই জনসংখ্যা বিস্ফোরণ প্রতিটি দেশের উন্নতির প্রধান অন্তরায়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতই বাংলাদেশের প্রধান সমস্যাগুলোর মধ্যে জনসংখ্যা সমস্যা অন্যতম।

population problem the mail bd

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। এ দেশটি তৃতীয় বিশ্বের সবচাইতে ঘনবসতিপূর্ণ এবং দরিদ্রতম ক্ষুদ্র দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে রহুল পরিচিত। মাত্র ৯৫.৫৯৮ বর্গমাইল আয়তনের মধ্যে প্রায় ১৬ কোটির উপর জনসংখ্যা অবিশ্বাস্য। এ দেশটিতে প্রতি বর্গমাইলে গড়ে ১৯৯৭ জনের উপরে লোক বসবাস করে এবং প্রতি মিনিটে ৪ টি শিশু জন্ম গ্রহণ করে। সুতরাং এ থেকেই বাংলাদেশের অবস্থা যে, কতটা ভয়াবহ তা উপলব্ধি করা যায়। এরূপ চলতে থাকলে আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে ২০ কোটির উপরে। আমাদের দেশের শতকরা ৮৫% লোক গ্রামীণ পরিবেশে জীবন কাটায়। শহরের তুলনায় গ্রামে শিক্ষার পরিবেশ নেই বললেই চলে।

গ্রামে-গঞ্জে শিক্ষার আলো না পৌঁছার কারণে শহরের তুলনায় গ্রামের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ অনেক অনেক বেশি। গ্রামের সহজ সরল জনগণ ধর্মীয় কুসংস্কার আর ফতোয়াবাজদের মিথ্যার ধুম্রজালে পড়ে জন্মনিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি গ্রহণ করছে না। ফলশ্রুতিতে আমাদের দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ দেশের অগ্রগতির পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরকম চলতে খাকলে হয়তো এমনও দিন আসবে যখন জনজীবন হবে প্রচন্ড দূর্বিসহ, অত্যন্ত ভয়াবহ।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির অসুবিধা তথা কুফলতা আলোচনা করার আগে প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ম্যালথাস –এর বিখ্যাত জনসংখ্যা তত্ত্বের ধারণা দেওয়া যাক। ম্যালথাস-এর মতে- “একটি দেশের চরম দারিদ্র ও আর্থিক অস্বচ্ছলতার প্রধান কারণ, সে দেশের ভূমির তুলনায় জনসংখ্যার ব্যাপক বৃদ্ধি।” মানুষ স্বভাবতই জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পায়। আর তার জীবিকার সংস্থান বাড়ে গাণিতিক গতিতে। ফলে দেশে ব্যাপকভাবে দেখা দেয় দারিদ্র আর খাদ্যাভাব। অবশ্য ম্যালথাসের এ জনসংখ্যা বিষয়ক তত্ত্ব কোন কোন দেশের ক্ষেত্রে অযৌক্তিক বলে প্রমানীত হয়েছে।

জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বেকার সমস্যাও প্রকটভাবে দেখা দিচ্ছে। বিশ্বদ্যিালয়ের উচ্চ ডিগ্রী থাকা সত্ত্বেও অধিক জনসংখ্যার কারণে কর্মসংস্থান হয়ে পড়ে অপ্রতুল। সুতরাং অধিকাংশ শিক্ষিত যুবককেই থাকতে হচ্ছে বেকার। হতাশায় বেশিরভাগ বেকার যুবক-যুবতীরা হচ্ছে বিপদগামী। ফলশ্রুতিতে অপরাধ প্রবনতা লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে।

জনসংখ্যা বুদ্ধির সাথে সাথে বর্ধিত জনগণের আবাদী জমিগুলোর উপর ঘরবাড়ী, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, রাস্তা-ঘাট প্রভৃতি তৈরি করতে হচ্ছে। এছাড়াও খাদ্যাভাব, দূর্ভিক্ষ, মহামারী, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ইত্যাদি একমাত্র অত্যাধিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে হচ্ছে। বাংলাদেশ ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে নিরক্ষীয় অঞ্চলে পড়েছে। এখানকার মানুষ জলবায়ূগত কারণে অল্প বয়সেই যৌবনপ্রাপ্ত হয়। এদেশের কিছু নিরক্ষর (অশিক্ষিত) কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজ তথা মানুষ অতি অল্প বয়সে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেয়, ফলে স্বাভাবিক কারণেই মেয়েদের অধিক সন্তানের মা হতে হয়। শিক্ষা হচ্ছে সভ্যতার প্রথম লক্ষণ। আর আমাদের দেশের শতকরা ৬৮% নিরক্ষর (যদিও সম-সাময়িক কালে দাবী করা হয় যে, শিক্ষিতের হার ৬২% উপরে) জনসমাজ সামগ্রিক জীবন-যাপনের ক্ষেত্রে সচেতন নয়। ফলে অধিক হারে সন্তান জন্মদানের ব্যাপার নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। পরিবার পরিল্পনা পদ্ধতি সমূহের ব্যাপারে অজ্ঞতা ও অসচেতনতার ফলে পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণে অনীহা প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন বিষয়ে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও প্রচারের স্বল্পতার কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার সাথে সাথে আমাদের ধর্মীয় গোড়ামী ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে পরিগনিত হচ্ছে।

পরিবার পরিকল্পনা এখন বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক জীবনে একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য এবং এটি একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে পরিগনিত হচ্ছে। ক্ষুদ্র এদেশটিতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড। ফলশ্রুতিতে স্থবির হয়ে আসছে কাঙ্খিত জাতীয় প্রবৃদ্ধির গতিময়তা।

family planning the mail bd

বিগত দুই দশকে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাসমূহ কর্তৃক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বিষয়ক গৃহিত ব্যাপক কর্মকান্ডের ফলশ্রুতিতে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতিসমূহের বিরাজমান ব্যবহার শতকরা ৫০ ভাগের উপরে এসে পৌঁছেছে। এটি পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতিসমূহ গ্রহণের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে একটি বড় ধরণের সাফল্য। তবুও এই খাতে আমাদের আরও বড় ধরনের সাফল্য প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটির উপরে এসে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি মিনিটে ৪ জন করে শিশু জন্মগ্রহণ করছে এহেন পরিস্থিতিতে দেশের আপামর জনসাধারণকে তথা সক্ষম দম্পতিদের পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সমূহ গ্রহণে উদ্বূদ্ধ করতে না পারলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির এ বিপদজনক প্রবনতা কোনভাবেই রোধ করা যাবেনা। আর এই ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমাতে না পারলে মুখ থুবরে পড়বে আমাদের জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।

এদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার শুরু করেন আবার পদ্ধতিগুলো ব্যবহারের পাশ্ব প্রতিক্রিয়া ও অন্যান্য জটিলতার কারণে তা পরিত্যাগও করেন। Client- রা পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারে জটিলতার জন্যে বিভিন্ন জনের সাথে পরামর্শ করে থাকেন। পদ্ধতিগুলো সম্পর্কে সাধারণ মানুষের তথা গ্রাম পর্যায়ের পরামর্শদাতাদের জ্ঞান খুব সীমিত হওয়ার কারণে এক্ষেত্রে পরামর্শগুলো স্বভাবতই নেতিবাচক হয়। তাছাড়া যে সব গ্রামীণ ডাক্তার ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের মাঠ কর্মীরা এসব ক্ষেত্রে মূল পরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করতে থাকেন তারা নিজেরাও অনেক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতিসমূহ সম্পর্কে যথেষ্ট অবগত নন। যার সার্বিক ফলাফল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই Client- রা পদ্ধতি ত্যাগের পক্ষে রায় দেয়। পদ্ধতিসমূহ ত্যাগের অন্যতম কারণ হচ্ছে তাদের পরামর্শদাতারা পদ্ধতিসমূহের ব্যাপারে সীমিত জ্ঞানের কারণে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার সমস্যা নিরসনের সঠিক ব্যবস্থাপত্র দিতে সমর্থ হননা। ফলশ্রুতিতে অনেক ক্ষেত্রে পদ্ধতি ত্যাগে পরামর্শদাতারা Client- দের প্ররোচিত করে থাকেন। এমন কি পদ্ধতি পাল্টে অন্য পদ্ধতি গ্রহণের পরামর্শ দিতেও তারা ব্যর্থ হন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। এতে করে Discontinuation -এর হার বেড়ে যায় এবং পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জিত হয় না।

বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বৃহৎ পরিকল্পনার মাধ্যমে হওয়া চাই। কেননা এদেশের নিরক্ষর (অশিক্ষিত) সমাজ আমাদের জনসংখ্যার চার ভাগের তিন ভাগের মত প্রায়। এই বিশাল জনগোষ্ঠির মন মানসিকতা বহু বছরের পুরোনো। হঠাৎ করে তাই নতুন কিছু এদের সামনে উপস্থাপন করলে গ্রহণ করাতো দূরের কথা এমন কি তারা বেঁকে বসতে পারে। তাই প্রতিটি পরিকল্পনা হওয়া চাই দীর্ঘমেয়াদী ও লাগসই।

জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সরকারের উদ্যোগই প্রধান। এছাড়াও বিভিন্ন এনজিও ও সমাজ কল্যানমূলক প্রতিষ্ঠানের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে কাজ করা উচিৎ। তা ছাড়া দেশের সকল স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও মসজিদসহ বিভিন্ন সমাজ কল্যানমূলক প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগিয়ে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা একান্ত প্রয়োজন। সাথে সাথে প্রতিটি শিক্ষিত ব্যক্তি ও চিকিৎসকরা এগিয়ে এলেই এ সমস্যার দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে।

সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে পরিবার পরিকল্পনার সকল কর্মসূচি জনগণের বোধগম্য করে তুলতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সকল কর্মসূচির বাস্তবায়ন ও জনগণকে বোধগম্য করে তোলার ক্ষেত্রে প্রাইভেট মেডিক্যাল প্রাকটিশনার্স ও রুরাল মেডিকেল প্রাকটিশনার্সরা সবিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই এ দিকটার প্রতি লক্ষ্য রেখে কিছু কিছু এনজিও ঢাকা মহানগরীর প্রাইভেট মেডিক্যাল প্রাকটিশনার্স (PMPs) ও বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকার রুরাল মেডিকেল প্রাকটিশনার্সদের(RMPs) পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার কাজে সমপৃক্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। ফলশ্রুতিতে আশা করা যাচ্ছে Client-রা তাদের বাড়ির নিকটবর্তী চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ ও সেবা পেলে ঐ এলাকাসমূহের অসচেতন দম্পতিরা পরিবার পরিকল্পনার বিষয় সর্ম্পকে আরও বেশি আগ্রহী হবেন। সম্প্রতি Bangladesh Demographic and Health Survey (BDHS) Report অনুযায়ী সিলেট অঞ্চলে এবং দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণকারীর হার দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে অনেক অনেক গুন কম। তাই প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নয়নে ব্যপকভাবে বিভিন্ন টেকসই ও জনসাধারণের বোধগম্য এবং সহজলভ্য কার্যক্রম ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যপক ও নিবিড়ভাবে গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। তাই সরকারের দৃষ্টি ও গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দিকে নিবদ্ধ, কিভাবে এ সমস্যার সমাধান করা যায় এবং কিভাবে উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে পদ্ধতি গ্রহণকারীর আস্থা ফিরিয়ে আনা যায়। গ্রামের শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ লোকই দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে আর এদের অধিকাংশই নিরক্ষর (অশিক্ষিত)। চিকিৎসক সম্প্রদায় তথা প্রাইভেট মেডিক্যাল প্রাকটিশনার্স ও রুরাল মেডিকেল প্রাকটিশনার্সরা এবং তা ছাড়া দেশের সকল স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা ও মসজিদসহ বিভিন্ন সমাজ কল্যানমূলক প্রতিষ্ঠান যদি পরিবার পরিল্পনা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা যায় তবে এ সেবার গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে Discontinuation-এর হারও কমে আসবে ও I Contraceptive Prevalence Rate (CPR) ও বৃদ্ধি পাবে।

উল্লেখিত উদ্যোগ যথাযথভাবে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে বাংলাদেশের মত একটি উন্নয়নশীল দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব কিছুই না। বাংলাদেশের মত একটি উন্নয়নশীল দেশকে আত্মনির্ভরশীল উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়তে হলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই করতে হবে। জন্ম নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি খুব তারাতারী বাস্তবায়ন সম্পূর্নভাবে না হলে জনসংখ্যা বিস্ফোরনের হাত থেকে এই দেশকে কখনই মুক্ত করা যাবেনা। এক্ষেত্রে সরকার ও জনগণের সদিচ্ছা একান্ত প্রয়োজন। উন্নয়নের কথা মুখে যতই বলা হোক না কেন এবং উন্নয়নকল্পে যতই প্রকল্প তথা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক না কেন, জনসংখ্যা বিস্ফোরণ রোধ করতে না পারলে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও দারিদ্রতা বিমোচন কোনভাবেই কি সম্ভব?

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security